দূরত্বের গল্প || বাংলা গল্প ||ভালোবাসার গল্প ২০২৫

 

দূরত্বের গল্প

দূরত্বের গল্প || বাংলা গল্প ||ভালোবাসার গল্প ২০২৫
দূরত্বের গল্প || বাংলা গল্প ||ভালোবাসার গল্প ২০২৫


পর্ব ১: পরিচয়

তৃষা আর আদিত্যর প্রথম দেখা হয়েছিল একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে। তৃষা ছিল বরপক্ষের আত্মীয়, আর আদিত্য কনের ভাই। ঢাকার একটা নামকরা কমিউনিটি সেন্টারে জমজমাট অনুষ্ঠান, হাসি-আনন্দে ভরা চারপাশ।

তৃষা তখন ব্যস্ত ছিল তার বন্ধুর সাথে গল্পে, আর আদিত্য দূর থেকে দেখছিল তাকে। একসময় একটা সুযোগ পেয়ে সে এগিয়ে গিয়ে বলল,

"আপনি কি সবসময় এত হাসেন?"

তৃষা একটু অবাক হয়ে তাকাল, তারপর বলল, "আপনার এতে সমস্যা হচ্ছে?"

আদিত্য মৃদু হেসে বলল, "একদম না, বরং ভালো লাগছে। পৃথিবীতে হাসি কমে যাচ্ছে, আর আপনি সেটাকে বাড়িয়ে দিচ্ছেন!"

তৃষা হেসে ফেলল। সেই মুহূর্তটাই ছিল তাদের গল্পের সূচনা।

পর্ব ২: বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসা

বিয়ের পরেও তাদের যোগাযোগ রয়ে গেল। প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট, তারপর ফোনকল, তারপর একসঙ্গে বইমেলা ঘোরা, সিনেমা দেখা—কেমন করে যেন তারা একে অপরের কাছে আসতে লাগল।

একদিন সন্ধ্যায় হাতিরঝিলে বসে আদিত্য বলল, "তৃষা, তুমি কি কখনো দূরের মানুষদের ভালোবেসেছ?"

তৃষা অবাক হয়ে বলল, "মানে?"

"যে মানুষকে তুমি ছুঁতে পারবে না, কিন্তু অনুভব করতে পারবে। যে হয়তো একসময় তোমার খুব কাছের হবে, আবার একদিন হয়তো অনেক দূরে চলে যাবে।"

তৃষা একটু ভেবে বলল, "আমার মনে হয়, ভালোবাসা দূরত্ব বোঝে না। একে শুধু অনুভব করা যায়।"

সেদিন আদিত্য তার দিকে এমনভাবে তাকিয়েছিল, যেন সেই মুহূর্তটা চিরকাল মনে রাখতে চায়।

পর্ব ৩: দূরত্বের শুরু

একদিন হঠাৎ করেই আদিত্য জানাল, সে স্কলারশিপ পেয়েছে—অস্ট্রেলিয়ায় মাস্টার্স করতে যাবে। তৃষা শুনেই চুপ হয়ে গেল।

"তৃষা, আমি চাই তুমি আমার সাথে থাকো। দূরত্ব আমাদের আলাদা করবে না, তাই তো?"

তৃষা মৃদু হাসল, কিন্তু তার চোখে জল জমে উঠল।

"আদিত্য, তুমি তো জানো, আমি পরিবারের একমাত্র মেয়ে। মা-বাবাকে ছেড়ে যেতে পারব না। আমাদের হয়তো সত্যিই দূরের মানুষ হয়েই থাকতে হবে..."

আদিত্য কিছু বলল না, শুধু তৃষার হাতটা শক্ত করে ধরল।

পর্ব ৪: অপেক্ষার দিনগুলো

আদিত্য চলে গেল বিদেশে। প্রথমদিকে প্রতিদিন ফোন, ভিডিও কল, কিন্তু আস্তে আস্তে ব্যস্ততা বেড়ে গেল। সময়ের ব্যবধান তৈরি হতে লাগল, কথার সংখ্যা কমতে লাগল।

একদিন তৃষা রাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখল—আদিত্যর শেষ মেসেজ তিন দিন আগের।

"তৃষা, কেমন আছো? খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। তোমার কথা খুব মনে পড়ে। ভালো থেকো!"

তৃষা উত্তর দিল, "আমি ভালো আছি, তুমি কেমন আছো?"

কিন্তু রিপ্লাই এল না। সময়ের ব্যবধানে ভালোবাসাও দূরে সরে যেতে থাকে।

পর্ব ৫: শেষ দেখা

তিন বছর পর আদিত্য দেশে ফিরল। তৃষা জানতে পারল, কিন্তু সে যোগাযোগ করেনি।

একদিন বইমেলায় তার প্রিয় বইয়ের স্টলে গিয়ে দাঁড়াতেই পেছন থেকে একটা চেনা কণ্ঠ শুনল—

"তৃষা?"

সে ধীরে ধীরে ঘুরল। আদিত্য দাঁড়িয়ে আছে, আগের চেয়ে পরিণত, চোখে ক্লান্তি।

তৃষা একটু হাসল, "তুমি কেমন আছো?"

আদিত্য দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, "ভালো থাকার চেষ্টা করছি। কিন্তু তৃষা, আমাদের গল্পটা যদি অন্যরকম হতো?"

তৃষা কিছু বলল না। সে জানত, সময় আর দূরত্ব তাদের গল্পটাকে বদলে দিয়েছে।

তৃষা শুধু একটা বই কিনে আদিত্যর হাতে দিল। বইয়ের নাম ছিল—"দূরের মানুষ"


শেষ কথা

ভালোবাসা সবসময় একসঙ্গে থাকার গল্প নয়, কখনো কখনো এটা অপেক্ষার গল্প হয়। কখনো কখনো দূরত্ব একটা সম্পর্ককে গভীর করে, আবার কখনো সেটা দূরে সরিয়ে দেয়। কিন্তু সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো হারিয়ে যায় না, সেটা রয়ে যায়—একটি অসমাপ্ত গল্পের মতো, সময়ের কাছে বন্দী হয়ে…


পর্ব ৬: নতুন শুরু নাকি পুরনো অধ্যায়?

বইটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে রইল আদিত্য। তারপর মৃদু হাসল।

"তৃষা, জানো? দূরের মানুষ হয়েও আমরা কি কখনো একে অপরকে ভুলতে পেরেছি?"

তৃষা কিছু বলল না। তার চোখের গভীরে হাজারো আবেগ খেলা করছিল, কিন্তু মুখে কিছু ফুটে উঠল না।

"তুমি কি কখনো আমার মেসেজের অপেক্ষা করতে?" আদিত্য জানতে চাইল।

তৃষা এবার হেসে বলল, "তুমি কি কখনো আমার রিপ্লাইয়ের অপেক্ষা করতে?"

এক মুহূর্ত নীরবতা। তারপর দুজনেই বুঝে গেল—তারা দুজনেই অপেক্ষা করেছিল, কিন্তু কেউ আগে বাড়ার সাহস করেনি।

পর্ব ৭: পুরনো রাস্তার নতুন মোড়

আদিত্য একটু ইতস্তত করে বলল, "তৃষা, আমরা কি আবার একসঙ্গে পথ চলতে পারি?"

তৃষা এবার সত্যিই হতবাক। এতদিন পর? যখন তারা দুজনেই জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে?

কিন্তু মনের গভীরে কোথাও যেন একটা অদৃশ্য বাঁধন এখনো রয়ে গেছে।

"আদিত্য, তুমি কি ভেবেছ, সময় আমাদের বদলে দিয়েছে?"

আদিত্য মাথা নেড়ে বলল, "সময়ের সাথে হয়তো আমাদের জীবন বদলেছে, অভ্যাস বদলেছে, কিন্তু অনুভূতিগুলো? সেগুলো কি বদলেছে?"

তৃষা জানত উত্তরটা। বদলায়নি। কিন্তু সে কি আবার ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত?

পর্ব ৮: ভালোবাসার দ্বিতীয় সুযোগ

সেদিন সন্ধ্যায় তারা হাতিরঝিলে হাঁটছিল, ঠিক আগের মতো। বাতাসে হালকা শীতের পরশ, জল চিকচিক করছিল স্ট্রিটলাইটের আলোয়।

"আমরা কি আবার বন্ধু হতে পারি?" তৃষা জিজ্ঞেস করল।

"আমরা কি কখনো শুধু বন্ধু ছিলাম?" আদিত্য পাল্টা প্রশ্ন করল।

তৃষা একটু হাসল।

সময় যা কেড়ে নেয়, সেটা কখনো কখনো ফিরিয়ে দেয় নতুন রূপে। হয়তো তারা পুরনো ভালোবাসায় ফিরবে না, হয়তো একটা নতুন সম্পর্ক তৈরি হবে, যেখানে কোনো প্রতিশ্রুতি থাকবে না, শুধু অনুভূতির প্রবাহ থাকবে।

তৃষা আর আদিত্য আবার কথা বলা শুরু করল, একদম প্রথম দিনের মতো। আর কে জানে? হয়তো তাদের গল্পের আসল শুরুটা তখনই হলো…


শেষ কথা

ভালোবাসা সবসময় চিরস্থায়ী হয় না, কখনো কখনো এটা একটা অধ্যায় হয়ে যায়। কিন্তু কিছু গল্পের শেষ হয় না, শুধু নতুন মোড় নেয়। আদিত্য আর তৃষার গল্পটা কি নতুন করে শুরু হলো, নাকি এটাই তাদের নিয়তি? সেটা সময়ই বলে দেবে…

পর্ব ৯: অসমাপ্ত অধ্যায়ের নতুন পৃষ্ঠা

আদিত্য আর তৃষার আবার কথা বলা শুরু হলো। পুরনো সেই সহজাত সম্পর্কটা যেন আবার ফিরে এলো, কিন্তু এবার দুজনেই অনেক বেশি সাবধানী। কেউ তাড়াহুড়ো করতে চাইল না।

একদিন সন্ধ্যায় তৃষা ফোন করল, "আদিত্য, তুমি কি বিশ্বাস করো, দ্বিতীয়বার ভালোবাসা সম্ভব?"

আদিত্য একটু চুপ থেকে বলল, "ভালোবাসা যদি সত্যি হয়, তাহলে সেটা কখনো শেষ হয় না। শুধু সময়ের সাথে তার রূপ পাল্টে যায়।"

তৃষা জানত, আদিত্য ঠিকই বলছে। কিন্তু তার ভেতরে এখনো একটা ভয় কাজ করছিল—আবার যদি দূরত্ব তৈরি হয়? যদি আবার হারিয়ে যায় সব?

পর্ব ১০: সিদ্ধান্তের সন্ধিক্ষণ

একদিন আদিত্য হঠাৎ বলল, "তৃষা, আমি দেশে ফিরে এসেছি। এখানেই থাকব। তোমার জন্য নয়, কিন্তু আমার নিজের জন্য। আমি বুঝেছি, আমার শেকড় এখানেই।"

তৃষা চমকে গেল।

"তাহলে আমাদের জন্য কি কোনো সম্ভাবনা আছে?"

আদিত্য মুচকি হেসে বলল, "সম্ভাবনা সবসময় থাকে, তৃষা। কিন্তু এবার আমি চাই তুমি ঠিক করো।"

তৃষার মনে হলো, এই মানুষটাকে সে সত্যিই কখনো ভুলতে পারেনি। দূরত্ব তাদের আলাদা করেছিল, কিন্তু ভালোবাসাটা কখনোই মুছে যায়নি।

পর্ব ১১: ভালোবাসার নতুন নাম

এক সন্ধ্যায় তারা আবার হাতিরঝিলে হাঁটছিল। তৃষা এবার আর কোনো দ্বিধা রাখল না।

"আদিত্য, এবার কি আমরা সত্যিই একসঙ্গে হাঁটতে পারি?"

আদিত্য তার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসল।

"আমরা তো এতদিন ধরেই একসঙ্গে হাঁটছি, তৃষা। শুধু সেটা স্বীকার করতে সময় লেগেছে।"

সেদিন প্রথমবারের মতো তৃষা নিজেকে মুক্ত অনুভব করল। ভালোবাসা মানে শুধু একসঙ্গে থাকা নয়, ভালোবাসা মানে একে অপরের জন্য অপেক্ষা করা, বারবার ফিরে আসা, আর নতুন করে শুরু করা।

শেষ কথা

তৃষা আর আদিত্যর গল্পটা একটা চিরন্তন সত্যের প্রমাণ—ভালোবাসা কখনোই একবারে শেষ হয় না, যদি সেটা সত্যিই গভীর হয়। দূরত্ব আসবে, সময় বদলাবে, কিন্তু যদি অনুভূতিগুলো বেঁচে থাকে, তাহলে গল্পটা শেষ পর্যন্ত নিজের পথ খুঁজে নেয়।

তাদের গল্পের শেষ পৃষ্ঠা হয়তো লেখা হয়ে গেছে, কিন্তু নতুন অধ্যায় তখনই শুরু হয়…

পর্ব ১২: বাস্তবতার পরীক্ষা

তৃষা আর আদিত্য একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেও, তাদের সামনে এখনো কিছু কঠিন বাস্তবতা অপেক্ষা করছিল।

তৃষার পরিবার এখনো তার জন্য পাত্র খুঁজছিল। একদিন মা সরাসরি বলেই ফেললেন, "তৃষা, তুমি কি আদিত্যর ব্যাপারে সিরিয়াস?"

তৃষা অবাক হয়ে বলল, "মা, তুমি এটা জানতে চাচ্ছ কেন?"

"কারণ আমরা তোমার জন্য একটা ভালো পাত্র খুঁজেছি, আর তুমি যদি আদিত্যকে চাও, তাহলে আমাদের বলতে হবে। নাহলে অন্য কোথাও তোমার বিয়ে ঠিক হয়ে যাবে।"

তৃষা চুপ করে গেল। এতদিন সে ভালোবাসাকে নিজের মতো করে দেখেছে, কিন্তু পরিবারকে বোঝানো—এটা কি এত সহজ হবে?

পর্ব ১৩: সিদ্ধান্তের রাত

সেদিন রাতে তৃষা আর আদিত্য বসে কথা বলছিল।

"আমাদের সামনে এখন কঠিন সময় আসতে পারে," তৃষা বলল।

"আমি জানি," আদিত্য মৃদু হাসল। "তুমি কি প্রস্তুত?"

তৃষা এক মুহূর্ত চুপ করে থাকল, তারপর বলল, "এবার আমি সত্যিই লড়তে রাজি আছি।"

আদিত্য এবার সত্যিই অবাক হলো। এতদিন সে তৃষার দ্বিধা দেখেছে, কিন্তু আজ তার চোখে এক অন্যরকম আত্মবিশ্বাস।

"তাহলে আমরা একসঙ্গে এই পথটা পার করব, তৃষা," আদিত্য বলল।

পর্ব ১৪: পরিবারকে বোঝানো

পরের দিন তৃষা তার বাবা-মায়ের সামনে বসে বলল, "আমি আদিত্যকে ভালোবাসি। আমি ওকেই বিয়ে করতে চাই।"

বাবা প্রথমে কিছু বললেন না। তারপর ধীরে ধীরে বললেন, "তোমাদের সম্পর্ক কি একদিনের আবেগ, নাকি সত্যিকারের ভালোবাসা?"

তৃষা আত্মবিশ্বাসী গলায় বলল, "বাবা, আমরা দুজনেই অনেক কিছু দেখেছি, অনেক বাধা পেরিয়েছি। এটা কোনো আবেগের সিদ্ধান্ত নয়, এটা আমাদের ভালোবাসা, আমাদের ভবিষ্যৎ।"

মা একটু দুশ্চিন্তার সঙ্গে বললেন, "তৃষা, তুমি কি নিশ্চিত আদিত্য তোমাকে কখনো আঘাত দেবে না?"

তৃষা হাসল। "ভালোবাসার মানুষ শুধু পাশে থাকে, আঘাত দেয় না।"

বাবা-মা একে অপরের দিকে তাকালেন। হয়তো তারা বুঝতে পারলেন, তৃষা বড় হয়ে গেছে। তার নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে।

পর্ব ১৫: ভালোবাসার পূর্ণতা

অবশেষে সব বাধা কাটিয়ে তৃষা আর আদিত্যর বিয়ে ঠিক হলো।

সেদিন বিয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃষা হাসল। সে বুঝল, ভালোবাসা শুধু সুন্দর মুহূর্তের নাম নয়—এটা ধৈর্য, বিশ্বাস, আর একে অপরকে আঁকড়ে ধরে রাখার গল্প।

আদিত্য তার পাশে দাঁড়িয়ে আস্তে করে বলল, "তৃষা, তুমি কি জানো, তুমি সবসময় এত হাসো কেন?"

তৃষা চোখ বন্ধ করে বলল, "কারণ এবার আমি জানি, আমার হাসির কারণটা তুমি।"

শেষ কথা

ভালোবাসার গল্পগুলো সবসময় সহজ হয় না। মাঝে মাঝে দূরত্ব আসে, ভুল বোঝাবুঝি হয়, বাস্তবতার কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকে। কিন্তু যারা সত্যিই একে অপরকে চায়, তারা শেষ পর্যন্ত একসঙ্গে পথ খুঁজে নেয়।

তৃষা আর আদিত্যর গল্পটা এখানেই শেষ নয়—এটা তাদের ভালোবাসার নতুন শুরুর গল্প…

পর্ব ১৬: নতুন জীবনের শুরু

তৃষা আর আদিত্যর বিয়ে হয়ে গেল সবার ভালোবাসা আর আশীর্বাদের মধ্য দিয়ে। একসময় যারা তাদের সম্পর্ককে নিয়ে সন্দেহ করেছিল, তারাই এখন এসে বলছে, "তোমরা একসঙ্গে দারুণ মানিয়েছে!"

বিয়ের পর প্রথম দিন সকালে আদিত্য এক কাপ কফি হাতে নিয়ে তৃষার পাশে এসে দাঁড়াল।

"তৃষা, তুমি কি বুঝতে পারছ? এখন থেকে আমরা একই ছাদের নিচে থাকব, প্রতিদিন একসঙ্গে ঘুম থেকে উঠব, কাজ থেকে ফিরে গল্প করব।"

তৃষা হেসে বলল, "ভালোবাসা এতদিন দূরত্ব পেরিয়েছে, এবার বাস্তবতার পরীক্ষায় নামতে হবে!"

আদিত্য মৃদু হেসে বলল, "আমাদের ভালোবাসা এত সহজে হার মানবে না।"

পর্ব ১৭: ছোট ছোট আনন্দ

তাদের নতুন জীবন শুরু হলো হাসি-ঠাট্টা, ভালোবাসা আর কিছু ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝির মধ্য দিয়ে।

একদিন রাতে আদিত্য অফিস থেকে ফিরে দেখে তৃষা বিরক্ত মুখে বসে আছে।

"কি হলো?"

"তুমি ফ্রিজে চকোলেট রেখেছিলে না?"

"হ্যাঁ, কিন্তু আমি সকালে খেয়ে ফেলেছি!"

তৃষা হতাশ মুখে বলল, "এতদিন ভেবেছিলাম, তুমি দূরের মানুষ ছিলে, কিন্তু তুমি তো আমার চকোলেটেরও শত্রু!"

আদিত্য হাসতে হাসতে বলল, "কালই তোমার জন্য ডাবল চকোলেট আনব, ঠিক আছে?"

এভাবেই তাদের জীবন চলতে লাগল। ছোট ছোট সমস্যাগুলো ভালোবাসার রঙে মিশে গিয়ে একসঙ্গে থাকার আনন্দকে আরও গভীর করল।

পর্ব ১৮: প্রথম ঝগড়া

কিন্তু সব গল্পের মতো তাদের গল্পেও কিছু কঠিন মুহূর্ত এলো।

একদিন অফিস থেকে ফিরে আদিত্য খুব ক্লান্ত ছিল। তৃষা কিছু বলতে গেলে সে বিরক্ত হয়ে বলল, "তৃষা, একটু শান্তি দেবে? সারাদিন অফিসে কাজ করে এসে এখন কথার চাপ নিতে পারব না!"

তৃষা হতবাক হয়ে গেল। এতদিন ধরে সে আদিত্যকে বুঝেছে, তার জন্য অপেক্ষা করেছে, আর আজ সে-ই তাকে দূরে সরিয়ে দিল?

তৃষা কোনো উত্তর না দিয়ে ঘরে চলে গেল।

কিন্তু কিছুক্ষণ পর আদিত্য এসে বলল, "তৃষা, আমি দুঃখিত। অফিসের চাপের জন্য কিছুটা রূঢ় হয়ে গিয়েছিলাম। তুমি জানো, আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি।"

তৃষা ধীরে ধীরে হাসল। "ভালোবাসা মানে শুধু সুখের মুহূর্ত নয়, মাফ করাটাও ভালোবাসার অংশ।"

পর্ব ১৯: নতুন স্বপ্ন

একদিন তৃষা আদিত্যর কাছে এসে বলল, "আদিত্য, আমি কি একটা স্বপ্ন বলতে পারি?"

"নিশ্চয়ই, বলো।"

"আমি একটা ছোট্ট বুক ক্যাফে খুলতে চাই। যেখানে মানুষ বই পড়তে পারবে, কফি খেতে পারবে, আর নিজেদের গল্প শেয়ার করতে পারবে।"

আদিত্য চোখ বড় করে তাকিয়ে বলল, "তৃষা, এটা দারুণ একটা আইডিয়া! আমি তোমার পাশে আছি!"

তৃষা অবাক হলো। "তুমি কি সত্যি বলছ? যদি আমি ব্যর্থ হই?"

"তাহলে আবার চেষ্টা করব। একসঙ্গে। কারণ তুমি আমার স্বপ্নের একটা অংশ, আর আমি তোমারটা হতে চাই।"

সেদিন তৃষা বুঝতে পারল, ভালোবাসা শুধু একে অপরের হাত ধরে রাখার গল্প নয়, বরং একসঙ্গে স্বপ্ন দেখার গল্প।

পর্ব ২০: গল্পের নতুন মোড়

তৃষা আর আদিত্য ধীরে ধীরে নিজেদের জীবন সাজিয়ে নিচ্ছিল।

একদিন তৃষা অনুভব করল, তার শরীরে কিছু পরিবর্তন আসছে। ডাক্তারের কাছে গিয়ে সে জানতে পারল—সে মা হতে চলেছে!

তৃষা আনন্দে কেঁদে ফেলল। এই মুহূর্তটা যেন তার ভালোবাসার নতুন রঙ এনে দিল।

রাতে সে আদিত্যকে বলল, "তুমি বাবা হতে চলেছ!"

আদিত্য প্রথমে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থাকল, তারপর এক লাফ দিয়ে তৃষাকে জড়িয়ে ধরল। "তৃষা, এটাই কি আমাদের গল্পের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায় নয়?"

তৃষা হাসতে হাসতে বলল, "না, আদিত্য। এটাই আমাদের গল্পের নতুন শুরু!"


শেষ কথা

ভালোবাসার গল্প কখনো শেষ হয় না। এটা শুধু এক অধ্যায় থেকে আরেক অধ্যায়ে প্রবাহিত হয়। তৃষা আর আদিত্যর গল্প একদিন দূরত্ব থেকে শুরু হয়েছিল, তারপর সেটাই একসঙ্গে পথ চলার গল্প হয়ে উঠল।

ভালোবাসা মানে শুধু একসঙ্গে থাকা নয়, বরং একে অপরের স্বপ্ন, আবেগ, হাসি-কান্না, এবং জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া।

তাদের গল্প শেষ হলো না—কারণ প্রতিটা ভালোবাসার গল্পের আসল সৌন্দর্য হলো, সেটার কোনো শেষ নেই, শুধু নতুন শুরু হয়…

পর্ব ২১: নতুন জীবনের প্রতীক্ষা

তৃষা আর আদিত্যর জীবনে এক নতুন আনন্দের অপেক্ষা। তাদের ভালোবাসা এবার নতুন পরিচয়ে রূপ নেবে—মা-বাবা হয়ে ওঠার মাধ্যমে।

তৃষা ধীরে ধীরে পরিবর্তন অনুভব করছিল। মাঝেমধ্যে ক্লান্তি, কখনো বমিভাব, কখনো অদ্ভুত এক অনুভূতি। আদিত্য তার প্রতিটি মুহূর্তে পাশে থাকল—ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট, রাতে ঘুম না আসলে পাশে বসে গল্প বলা, অথবা তৃষার পছন্দের আমড়া-আচার খুঁজে বের করা!

একদিন রাতে তৃষা মৃদু স্বরে বলল, "আদিত্য, তুমি কি ভয় পাচ্ছ?"

আদিত্য এক মুহূর্ত চুপ থেকে বলল, "হ্যাঁ, কিন্তু আনন্দও পাচ্ছি। বাবা হওয়া একটা নতুন দায়িত্ব, কিন্তু জানো, তৃষা? আমি অপেক্ষা করছি আমাদের ছোট্ট মানুষটার জন্য।"

তৃষা চোখ বন্ধ করে বলল, "আমি-ও।"

পর্ব ২২: ছোট্ট একটা স্পর্শ

নয় মাস ধীরে ধীরে পার হয়ে গেল। অবশেষে সেই বিশেষ দিন এলো।

রাতের বেলা তৃষার প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলো। আদিত্য সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষার পর ডাক্তার বেরিয়ে এসে বললেন, "অভিনন্দন! আপনাদের কন্যা হয়েছে!"

আদিত্যর চোখে আনন্দের অশ্রু জমে উঠল।

সে ধীরে ধীরে তৃষার কক্ষে ঢুকল। তৃষা ক্লান্ত, কিন্তু তার চোখে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। তার পাশে ছোট্ট এক প্রাণ কাঁথায় মোড়ানো।

আদিত্য সন্তর্পণে হাত বাড়িয়ে ছোট্ট আঙুলগুলো ছুঁয়ে দেখল। নবজাতক তার ছোট্ট হাত মুঠো করে ধরল আদিত্যর আঙুল।

"তৃষা, ও কত ছোট! কিন্তু ওর স্পর্শটা এত শক্তিশালী…!" আদিত্য আবেগে বলল।

তৃষা মৃদু হেসে বলল, "এটাই তো ভালোবাসার সবচেয়ে সুন্দর রূপ, আদিত্য।"

পর্ব ২৩: ভালোবাসার পূর্ণতা

বাচ্চার নাম রাখা হলো "আরোহী", যার অর্থ—একটি ধাপে ধাপে বেড়ে ওঠার যাত্রা, এক নতুন শুরুর প্রতীক।

তৃষা আর আদিত্যর জীবন পুরোপুরি বদলে গেল। রাতজাগা, আরোহীর কান্না, তার প্রথম হাসি—সবকিছুই যেন এক নতুন অনুভূতি হয়ে ধরা দিল।

একদিন রাতে আদিত্য আরোহীকে কোলে নিয়ে বলল, "তৃষা, মনে আছে? তুমি বলেছিলে, আমাদের গল্পের শেষ নেই, শুধু নতুন অধ্যায় শুরু হয়?"

তৃষা হাসল। "হ্যাঁ, আরোহী আমাদের গল্পের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায়।"

আদিত্য তার স্ত্রী আর মেয়েকে একসঙ্গে জড়িয়ে ধরল।

ভালোবাসা মানে শুধু একসঙ্গে পথচলা নয়, বরং একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। আরোহী ছিল তাদের ভালোবাসার সাক্ষী, তাদের নতুন শুরুর গল্প।


শেষ কথা

প্রতিটা ভালোবাসার গল্পের কোনো প্রকৃত শেষ নেই। জীবন এগিয়ে চলে, গল্প নতুন নতুন রূপ নেয়, কিন্তু ভালোবাসা টিকে থাকে। তৃষা আর আদিত্যর ভালোবাসা দূরত্ব থেকে শুরু হয়েছিল, তারপর তা একসঙ্গে পথচলার গল্প হয়ে উঠল। আর এখন, সেই ভালোবাসার পূর্ণতা তাদের সন্তান—আরোহী।

এই গল্প শেষ নয়। কারণ ভালোবাসার গল্প কখনো শেষ হয় না, বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলে, ঠিক যেমন তৃষা আর আদিত্যর গল্পটি…

পর্ব ২১: নতুন জীবনের প্রতীক্ষা

তৃষা আর আদিত্যর জীবনে এক নতুন আনন্দের অপেক্ষা। তাদের ভালোবাসা এবার নতুন পরিচয়ে রূপ নেবে—মা-বাবা হয়ে ওঠার মাধ্যমে।

তৃষা ধীরে ধীরে পরিবর্তন অনুভব করছিল। মাঝেমধ্যে ক্লান্তি, কখনো বমিভাব, কখনো অদ্ভুত এক অনুভূতি। আদিত্য তার প্রতিটি মুহূর্তে পাশে থাকল—ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট, রাতে ঘুম না আসলে পাশে বসে গল্প বলা, অথবা তৃষার পছন্দের আমড়া-আচার খুঁজে বের করা!

একদিন রাতে তৃষা মৃদু স্বরে বলল, "আদিত্য, তুমি কি ভয় পাচ্ছ?"

আদিত্য এক মুহূর্ত চুপ থেকে বলল, "হ্যাঁ, কিন্তু আনন্দও পাচ্ছি। বাবা হওয়া একটা নতুন দায়িত্ব, কিন্তু জানো, তৃষা? আমি অপেক্ষা করছি আমাদের ছোট্ট মানুষটার জন্য।"

তৃষা চোখ বন্ধ করে বলল, "আমি-ও।"

পর্ব ২২: ছোট্ট একটা স্পর্শ

নয় মাস ধীরে ধীরে পার হয়ে গেল। অবশেষে সেই বিশেষ দিন এলো।

রাতের বেলা তৃষার প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হলো। আদিত্য সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষার পর ডাক্তার বেরিয়ে এসে বললেন, "অভিনন্দন! আপনাদের কন্যা হয়েছে!"

আদিত্যর চোখে আনন্দের অশ্রু জমে উঠল।

সে ধীরে ধীরে তৃষার কক্ষে ঢুকল। তৃষা ক্লান্ত, কিন্তু তার চোখে এক অদ্ভুত প্রশান্তি। তার পাশে ছোট্ট এক প্রাণ কাঁথায় মোড়ানো।

আদিত্য সন্তর্পণে হাত বাড়িয়ে ছোট্ট আঙুলগুলো ছুঁয়ে দেখল। নবজাতক তার ছোট্ট হাত মুঠো করে ধরল আদিত্যর আঙুল।

"তৃষা, ও কত ছোট! কিন্তু ওর স্পর্শটা এত শক্তিশালী…!" আদিত্য আবেগে বলল।

তৃষা মৃদু হেসে বলল, "এটাই তো ভালোবাসার সবচেয়ে সুন্দর রূপ, আদিত্য।"

পর্ব ২৩: ভালোবাসার পূর্ণতা

বাচ্চার নাম রাখা হলো "আরোহী", যার অর্থ—একটি ধাপে ধাপে বেড়ে ওঠার যাত্রা, এক নতুন শুরুর প্রতীক।

তৃষা আর আদিত্যর জীবন পুরোপুরি বদলে গেল। রাতজাগা, আরোহীর কান্না, তার প্রথম হাসি—সবকিছুই যেন এক নতুন অনুভূতি হয়ে ধরা দিল।

একদিন রাতে আদিত্য আরোহীকে কোলে নিয়ে বলল, "তৃষা, মনে আছে? তুমি বলেছিলে, আমাদের গল্পের শেষ নেই, শুধু নতুন অধ্যায় শুরু হয়?"

তৃষা হাসল। "হ্যাঁ, আরোহী আমাদের গল্পের সবচেয়ে সুন্দর অধ্যায়।"

আদিত্য তার স্ত্রী আর মেয়েকে একসঙ্গে জড়িয়ে ধরল।

ভালোবাসা মানে শুধু একসঙ্গে পথচলা নয়, বরং একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। আরোহী ছিল তাদের ভালোবাসার সাক্ষী, তাদের নতুন শুরুর গল্প।


শেষ কথা

প্রতিটা ভালোবাসার গল্পের কোনো প্রকৃত শেষ নেই। জীবন এগিয়ে চলে, গল্প নতুন নতুন রূপ নেয়, কিন্তু ভালোবাসা টিকে থাকে। তৃষা আর আদিত্যর ভালোবাসা দূরত্ব থেকে শুরু হয়েছিল, তারপর তা একসঙ্গে পথচলার গল্প হয়ে উঠল। আর এখন, সেই ভালোবাসার পূর্ণতা তাদের সন্তান—আরোহী।

এই গল্প শেষ নয়। কারণ ভালোবাসার গল্প কখনো শেষ হয় না, বরং প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বয়ে চলে, ঠিক যেমন তৃষা আর আদিত্যর গল্পটি…

পর্ব ২৪: সময়ের স্রোতে ভালোবাসা

আরোহী ধীরে ধীরে বড় হতে লাগল। বাবা-মায়ের হাত ধরে তার পৃথিবীটা রঙিন হয়ে উঠল। তার প্রথম হাঁটা, প্রথম "মা-বাবা" বলা—প্রতিটা মুহূর্তেই তৃষা আর আদিত্যর ভালোবাসা নতুনভাবে প্রাণ পেল।

একদিন স্কুল থেকে ফিরে আরোহী দৌড়ে এসে বলল, "মা! বাবা! আজ আমি একটা নতুন গল্প লিখেছি!"

আদিত্য হেসে বলল, "দেখি তো, আমার মেয়েটা গল্পকার হয়ে গেছে!"

আরোহী কাগজটা তাদের হাতে দিল। গল্পটা পড়তে পড়তে তৃষার চোখে জল এসে গেল।

গল্পের নাম ছিল "একটা অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প"—একটা ছেলে আর মেয়ের কথা, যারা একে অপরের থেকে দূরে চলে গিয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালোবাসা তাদের আবার এক করেছিল।

আদিত্য আর তৃষা একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসল। এই গল্পটা তো তাদেরই গল্প!

"আরোহী, তুমি এটা কোথা থেকে শিখলে?" তৃষা জানতে চাইল।

আরোহী মিষ্টি হাসল, "তোমাদের থেকে! তোমাদের ভালোবাসাই তো আমার সবচেয়ে বড় গল্প!"

পর্ব ২৫: নতুন প্রজন্ম, নতুন গল্প

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরোহী আরও বড় হলো, নিজের স্বপ্ন গড়ে তুলল।

একদিন সে এসে বলল, "বাবা, আমি বিদেশে পড়তে যেতে চাই। তুমি কি আমায় অনুমতি দেবে?"

তৃষা একটু চিন্তিত হয়ে পড়ল, কিন্তু আদিত্য হাসল, "ভালোবাসা মানে মানুষকে আটকে রাখা নয়, বরং তাদের স্বপ্নের পথে মুক্তি দেওয়া। যাও, আমার মেয়ে! নিজের গল্পটা তুমি নিজেই লেখো!"

আরোহী তাদের জড়িয়ে ধরল।

পর্ব ২৬: বৃদ্ধ বয়সের ভালোবাসা

বছর কেটে গেল। আরোহী নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলল, ভালোবাসা খুঁজে পেল, আর একদিন নিজের জীবনসঙ্গী নিয়ে বাবা-মায়ের কাছে এল।

তৃষা তখন চুলে পাক ধরেছে, আদিত্যর মুখে বয়সের ছাপ পড়েছে, কিন্তু তাদের ভালোবাসা এখনো ঠিক আগের মতোই।

"বাবা-মা, আমি তোমাদের মতো ভালোবাসা চাই," আরোহী বলল।

তৃষা আর আদিত্য একে অপরের দিকে তাকাল। জীবন কেটে গেছে, অনেক পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু তারা জানে—ভালোবাসা যখন সত্যি হয়, সেটা কখনো পুরনো হয় না, শুধু আরও গভীর হয়।

"ভালোবাসার সবচেয়ে বড় রহস্য জানো, আরোহী?" আদিত্য বলল।

"কি, বাবা?"

"যে ভালোবাসা একবার সত্যি হয়, সেটা কখনো শেষ হয় না। শুধু নতুন গল্প শুরু হয়।"

শেষ কথা

তৃষা আর আদিত্যর গল্প শুরু হয়েছিল ভালোবাসার পরীক্ষা দিয়ে, তারপর সেটাই হয়ে উঠল জীবনের সবচেয়ে সুন্দর যাত্রা। আরোহী তাদের ভালোবাসার সাক্ষী হয়ে নতুন গল্প লিখল।

এবং এইভাবেই… ভালোবাসার গল্প চলতে থাকল, সময়ের স্রোতে হারিয়ে না গিয়ে নতুন রূপে ফিরে এল…

শেষ… না হয়তো, নতুন শুরু!

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url